যে ৫ টি কারণের জন্য লিটনকে ছেড়ে সাকিবকে ক্যাপ্টেন! জেনে নিন,গর্ব হবে প্রত্যেক বাংলাদেশীর !

সামনে এশিয়া কাপ এবং তারপরে বিশ্বকাপ পরপর দুটি বড় ইভেন্টের জন্য রীতিমতো প্রস্তুত টাইগার বাহিনী। যদিও অভিনয় করতো কে করবে সেই নিয়ে বিগত কিছুদিন ধরে টানাপোড়ন চলছে, তামিম ইকবাল পুরোপুরি চোট থেকে বেরিয়ে আসতে না পারার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয় অধিনায়ক নির্বাচন করা আর সেখান থেকে লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসানের মধ্য থেকে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে বেছে নেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যে বিসিবি ঘোষণা করেছে এশিয়া কাপের শক্তিশালী দল। তবে সাকিবকে অধিনায়ক করার জন্য রয়েছে পাঁচটি কারণ।

প্রথমত, সাকিবকে অধিনায়ক করার সব থেকে বড় কারণ হলো তার এক্সপেরিয়েন্স, শাকিব একটা লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। শুধু তাই নয় বিশ্বের বিভিন্ন লীগে সাকিব খেলেছেন, শুধু যে খেলেছেন এমনটা বলা ভুল, তিনি দাপটের সাথে খেলেছেন এবং সব জায়গায় দুরন্ত পারফরমেন্স করেছেন সেটা আইপিএল হোক বা অন্য যে কোন লিগ। আর যে ক্রিকেটার লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলে, ক্রিকেটার সব রকম ভাবে জ্ঞান তার অনেক বেশি হয়। যেমন ভারতের ধনীকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে ধরা হয়, যিনি আইপিএলের শুধুমাত্র অধিনায়কত্বের জোরে ম্যাচ জিতে যান, তিনিও কিন্তু আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তখন এতটা পরিপক্ক অধিনায়ক ছিলেন না যতটা এখন হয়েছেন। তাই সাকিবকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার অন্যতম কারণ এক্সপেরিয়েন্স।

দ্বিতীয় কারণ, যেহেতু ভারতের মাটিতে হতে চলেছে বিশ্বকাপ, ভারতের অধিকাংশ গ্রাউন্ডেই শাকিব কখনো না কখনো খেলেছেন সেই সমস্ত গ্রাউন্ড গুলির পিছের কন্ডিশন কেমন হয় কিভাবে খেললে ভালো হয় এই সবকিছু তিনি খুব ভালোভাবেই জানেন সুতরাং একটা দলকে সঠিকভাবে নিয়ে যাবার জন্য শাকিবের দল চালানোর ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের কথা যদি বলতে হয় সাকিব অল হাসানের নাম সবার আগে আসবে, তাই তার উপর ভরসা করাটা খুব একটা বোকামি হবে না।

তৃতীয়ত, চাপের মধ্যে যখনই দল পড়ে সেই সময় সাকিবের ভিতর থেকে আরো বেশি করে জেদ এবং পারফরম্যান্স করার মানসিকতা বেরিয়ে আসে। সুতরাং সাকিব যদি অধিনায়কত্ব করে সেই ক্ষেত্রে দল যতটাই চাপের মধ্যে আসুক না কেন শাকিব দলকে গর্ত থেকে বের করে আনবেন। কারণ চাপের মধ্যে তার খেলা আরো ভালো হয়, আর যতটা দিন তিন অধিনায়কত্ব করেছেন তার কাছ থেকে দুরন্ত পারফরম্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। তার অধিনায়কত্ব সময়ের সাথে সাথে আরো উন্নত হয়েছে এমনটা আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্যই লক্ষ্য করেছি। সুতরাং বর্তমানকালে বুদ্ধিতে তিনি কোন অংশেই মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বুদ্ধিমান ক্যাপ্টেনদের থেকে পিছিয়ে নেই।

চার নাম্বার কারণ হলো, দলের অধিনায়ক সব সময় একজন সিনিয়র প্লেয়ারকে করলে দলের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং সমস্ত জুনিয়র প্লেয়াররা তাদের সমস্ত দরকারে সেই সিনিয়র প্লেয়ারের কাছে যেতে পারে এবং নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারে সেই জায়গায় যদি কোন জুনিয়র প্লেয়ারকে অধিনায়ক করা হয় যেমন লিটন দাস সেক্ষেত্রে সিনিয়র প্লেয়ারদের লিটনের কাছে সাহায্য চাইতে যাওয়াটা একটু অন্যরকম লাগে। তাই সাকিবকে ক্যাপ্টেন করাটা যুক্তিযুক্ত।

আর পাঁচ নম্বর কারণ হলো, শাকিব একজন অলরাউন্ডার সুতরাং ব্যাটিংয়ের দ্বিতীয় তার যতটা জ্ঞান রয়েছে বোলিংয়ের দিক দিয়েও সমস্ত বোলারদের তিনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন আবার ব্যাটসম্যানদেরও তিনি সঠিকভাবে খেলার কথা বলতে পারবেন যেটাতে বাংলাদেশ জয়লাভ করতে পারে। তাই সব মিলিয়ে শাকিব হলেন সেরা ক্যাপ্টেন।